বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেছেন। রায় অনুযায়ী, ১৪ বছর আগে বাতিল হওয়া নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আবারও ফিরছে। এটি কার্যকর হবে দেশের চতুর্দশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে।
রায় ঘোষণার পর ব্রিফিংয়ে আইনজীবীরা জানান, গত ১১ নভেম্বর শুনানি শেষ হলে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ আজকের দিনটি রায় প্রদানের জন্য নির্ধারণ করেছিলেন। বহুল আলোচিত এ মামলায় বিএনপির পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। জামায়াতের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী শরীফ ভূইয়া। আর রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তি দেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। মোট ১০ কর্মদিবস ধরে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
শুনানিতে আপিলকারী পক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষ উভয়ই যুক্তি দেন যে, দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুনর্বহাল জরুরি। তাদের মতে, এই ব্যবস্থা বাতিল হওয়ায় রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল।
বিএনপির আইনজীবী জয়নুল আবেদীন রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে জনগণ আবারও নিজেদের ভোটাধিকার স্বাধীনভাবে প্রয়োগ করতে পারবেন, এবং গণতন্ত্র আরও সুদৃঢ় হবে। তিনি আরও বলেন, “আজকের রায় সংঘাতময় রাজনীতি থেকে দেশকে মুক্ত করেছে।”