জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকের স্ত্রী শাহীন সিদ্দিক সাইপ্রাসের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন— এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের। পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে তার নামে উচ্চমূল্যের একাধিক সম্পত্তিরও সন্ধান পাওয়া গেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক পোস্টে সায়ের লিখেছেন, দীর্ঘদিন অনুসন্ধানের পর অবশেষে শাহীন সিদ্দিকের সাইপ্রাস নাগরিকত্ব গ্রহণের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। এর আগে তিনি ২০১৩ ও ২০১৫/২০১৬ সালে অ্যান্টিগুয়া-বার্বুডা এবং মাল্টার নাগরিকত্ব গ্রহণের চেষ্টা করলেও তা সফল হয়নি।

নথিপত্র অনুযায়ী, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে প্রায় ২.২ মিলিয়ন ইউরো, অর্থাৎ প্রায় ৩১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে সাইপ্রাসের নাগরিকত্ব অর্জন করেন শাহীন সিদ্দিক। উল্লেখ্য, তারিক আহমেদ সিদ্দিক শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার স্বামীর ভাই।

সায়ের আরও জানান, শাহীন সিদ্দিকের নামে দুবাইয়ের এরাবিয়ান র‍্যানচেস এলাকায় তিনটি সম্পত্তির তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে এরাবিয়ান র‍্যানচেস ১–এ অবস্থিত ৭৫১.১৮ বর্গমিটারের একটি জমি ৮.৫ মিলিয়ন দিরহামে ২০২৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর কেনা হয়। বাকি দুটি ফ্ল্যাট এরাবিয়ান র‍্যানচেস ৩–এ অবস্থিত— আয়তন যথাক্রমে ১২৯.০৩ ও ১৪৫.৮৫ বর্গমিটার। মূল্য ২.২ মিলিয়ন ও ২.২৮ মিলিয়ন দিরহাম। ফ্ল্যাট দুটি ২০২৩ সালের ১৪ ও ১৬ নভেম্বর কেনা হয়েছে বলে নথিতে উল্লেখ আছে।

জুলকারনাইন সায়ের প্রশ্ন তুলেছেন, সাইপ্রাস নাগরিকত্বে ব্যবহৃত ২.২ মিলিয়ন ইউরো এবং দুবাইয়ের তিনটি সম্পত্তি কিনতে ব্যয় হওয়া প্রায় ১৩ মিলিয়ন দিরহাম— এসব বিপুল অর্থ শাহীন সিদ্দিকের আয়কর রিটার্নে নেই। তিনি কীভাবে এই অর্থের উৎস দেখিয়েছেন? কোন প্রক্রিয়ায় বিদেশি নাগরিকত্ব বিনিয়োগ ও সম্পদ ক্রয় সম্পন্ন করেছেন? সায়েরের দাবি— এই সম্পদই তাদের পাচার করা অর্থের মাত্র একটি অংশ।